Monday, April 29, 2024
Homeদৈনন্দিনহরিদেবপুরে তড়িতাহত হয়ে আবারও এক মৃত্যু! কে নেবে তার দায়ভার? কারণ খুঁজতে...

হরিদেবপুরে তড়িতাহত হয়ে আবারও এক মৃত্যু! কে নেবে তার দায়ভার? কারণ খুঁজতে ঘটনাস্থলে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞসহ একটি তদন্ত দল

NEWS HUNGAMA

কলকাতা, জুন 28, 2022, খবর News Hungama

হরিদেবপুরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম নীতীশ যাদব। কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। প্রসাদ দিতে শিক্ষিকার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল নীতিশের। কিন্তু তা হয়নি। শিক্ষকের বাড়ির সামনের রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। ল্যাম্পপোস্ট স্পর্শ করতেই ছেলেটি জমাট জলে পড়ে গেল। তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর ফের বিতর্ক তৈরি হয়। এ বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে মিটিং। ঘটনাস্থলে বারবার পরিদর্শন।  বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চাপে কেটে গেল সারাটা দিন। হরিদেবপুর কাণ্ডের উৎস কোথায়? কারা দায়ী? হরিদেবপুরে দুর্ঘটনার কারণ জানতে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞসহ একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতা পুরসভা থেকে প্রথমে বিএসএনএল-এর (𝙱𝚂𝙽𝙻) দিকেই দোষের আঙুল তোলা হয়েছিল। ওই পোস্টে বিদ্যুতের সংযোগের জন্য তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে কলকাতা টেলিফোনের আধিকারিকরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। পুরসভার প্রাথমিক রিপোর্টে বিতর্কিত পোস্টের পাশে CESC কর্তৃপক্ষের খোঁড়াখুঁড়ির তথ্য সামনে এসেছে।  সিইএসসি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

অপরদিকে আলো বিভাগও প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে কে বা কারা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে।দোষের আঙুল উঠেছে বিতর্কিত পোস্টের উল্টো দিকে তৈরি হওয়া বাড়ির দিকেও। কলকাতা পৌরসভার আলোক বিভাগের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে বাড়িটি বিদ্যুতের সাথেও সংযুক্ত ছিল। পৌরসভার আলোক বিভাগের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মেয়ার কাউন্সিলর সন্দীপরঞ্জন বক্সী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তদন্তে কে বা কারা দোষী সাব্যস্ত হবে। তার বিরুদ্ধে পৌরসভার আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হরিদেবপুরে এই মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।  এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমি সব রকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকব। আজ পৌরসভার গাড়ি থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা করব। কার দায়িত্ব, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দিন শেষে তৃতীয় দলকে মাঠে পাঠায় কলকাতা পুরসভা। পৌরসভার বিভাগীয় তদন্ত ও পুলিশের তদন্ত আলাদাভাবে হলেও বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট নেওয়া হবে। কমিটিতে থাকবেন কলকাতা পুরসভা, সিএসই এবং হরিদেবপুর থানার আধিকারিকরা। কমিটি দুদিনের মধ্যে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রিপোর্ট দেবে।

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​মেয়র কাউন্সিল সন্দীপরঞ্জন বক্সীর মতে, এলাকায় আলো জ্বালাতে সন্ধ্যা ৭টার পর লাইনে বিদ্যুৎ আসে। ঘটনাটি ঘটেছে তার আগে। সিইএসসির আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তাদের লাইন মাটির নিচে চলে গেছে। এ জন্য পোস্টে বিদ্যুৎ পাঠানোর দায়িত্ব তাদের নয়।

কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? উত্তর খোঁজার জন্য দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। হুকিং নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে দায়িত্বের পাশে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যাদবপুরকেও তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুতের পরিচালক এ কে গঙ্গোপাধ্যায় এবং যাদবপুর বৈদ্যুতিক বিভাগের অধ্যাপক নীলাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় আগামীকাল সাইটটি পরিদর্শন করবেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন পৌরসভার আলোক বিভাগের মেয়র সন্দীপরঞ্জন বক্সী।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments