News Hungama
নিজস্ব প্রতিবেদন (শ্রীতমা চিনা): ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত্য জাগে’ জন্মের 160 বছর পরেও বাঙালির মনের মনিকোঠায়, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারে আজও কবিগুরুর স্মৃতি চির বিদ্যমান। ক্যালেন্ডার আজ যতই সোমবার বলুক, আজ কিছু আসলেই ‘রবিবার’। আজ ২৫ বৈশাখ, কোনো রাজ্য না, দেশ না, সারা বিশ্ব গা ভাসিয়েছে রবীন্দ্র আবহে। প্রাক-জয়ন্তির সাথে আজ সকাল থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রভাতফেরীর মাধ্যমে শুরু হয়েছে কবি-প্রনাম।
কবিগুরুর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে শান্তিনিকেতন। সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে মেতেছে শান্তিনিকেতনবাসী। কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান ও রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন দিয়ে সড়ম্বরে পালিত হয় বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তি। আজ দিনভর তাঁর লেখা কবিতা, গানে, গল্পে ও নাচে কবি স্মরণের অনুষ্ঠানে মেতেছে সবাই।
শান্তিনিকেতন থেকে দুর্গাপুর কোথাও বাদ যায়নি প্রাণের ঠাকুরের জন্ম দিবস পালন। আজ সকাল ৯টা নাগাদ মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্যের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে দুর্গাপুরে পালিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিবস।
একটি পদযাত্রা ও প্রভাতফেরী আয়োজিত করে দুর্গাপুর বাসিন্দারা। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি সুসজ্জিত ট্যাবলো বার করা হয়। ট্যাবলোর মধ্যে থাকা সাউন্ড সিস্টেমে রবীন্দ্রসঙ্গীত মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
যখন বাঙালির এমন পার্বণে কালবৈশাখীর মতো হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস তখন প্রযুক্তিতেই ভরসা রেখেছে বাঙলা। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে কবিগুরুর গান-নাচ-কবিতায়। সকলেই নিজের মতো করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। কবিগুরুর জন্মদিন স্মরণীয় করতে অভিনব উদ্যোগ শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের। দেশ বিদেশের ৩৩ জন সঙ্গীত শিল্পীর কণ্ঠ একত্রিত হয়েছে রবির ‘ভারততীর্থ’ অনুষ্ঠানে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা শিল্পীদের কণ্ঠ মিলিয়ে দিয়েছে ‘ভারততীর্থ’। থেকে থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া কেউই বাদ যায়নি। ভিন্ন দেশে থাকা শিল্পীদের কণ্ঠ মিলিয়েছে এসপিসি ক্রাফটের অনলাইনের অর্ক গোস্বামী। ভিডিওটি শুরু হয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দিয়ে। ‘হে মর চিত্ত পূর্ণ তীর্থে জাগো রে ধীরে’ অবৃত্তি করেন তিনি। সিঙ্গাপুর থেকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। এই অভিনব উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা।